
এটা কোন পর্বতের গিরিখাদের ছবি নয় বা মহাকাশের থেকে নেওয়া পৃথিবী পৃষ্ঠের ছবি ও নয়, একটা বাচ্চা ছেলের দাঁতের ফাটল , ১৪০০ গুণ বিবর্ধিত করে ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ এর নিচে তোলা ।
সে জন্যই তো আমি সেটাকে ওইটুকু দেখছি । আমি মানুষ আমি উড়তে পারিনা । কিন্তু এই উড়তে না পারাটাও আপেক্ষিক ।আমি উড়তে পারিনা পৃথিবীর একটা নির্দিষ্ট সীমাতে ।পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে ৫০০ কি.মি উপরে আপনাকে নিয়ে ছেড়ে দিলে আপনি তখন নিজেকে ওজনহীন মনে করবেন এবং ভেসে বেড়াবেন অবশ্য সেখানে একটা ঘুর্ণণ ও রয়েছে, এই ঘূর্ণণ না থাকলে অবশ্য গ্রহ-নক্ষত্র-উপগ্রহ সব পতিত হয়ে যেতো ,পৃথিবী গিয়ে পড়তো সূর্য্, চাঁদ পড়তো পৃথিবীতে । কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইট ও একই নিয়ম মেনে চলে ।একে পৃথিবী থেকে বায়ুমন্ডলের সর্বোচ্চ স্তর এক্সোস্ফিয়ার এর কাছাকাছি বা উপরে ওঠানো হয় জ্বালানীর জোরে জোর করে । তারপর এর জ্বালানী শেষ হলেও এটি অনন্তকাল ধরে পৃথিবীর ঘূর্ণন এর সাথে ঘুরতে থাকে । আবার কসমিক রে বা মহাজাগতিক রশ্মি অনবরত পৃথিবীতে এসে আঘাত হানছে ।আঘাত হানছে জীব জগতের উপর অনবরত ভাবে ।
(৬৯)
ক্ষেত্র বিশেষে এটা দিনের পর দিন অনবরত ভাবে আমাদের কোষের ক্ষয় ও ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে । পৃথিবীর বায়ুমন্ডল থেকে ওজোনস্তরের ঘনত্ব কমে যাওয়ার ফলে অতিবেগুনী রশ্মি ও কসমিক রে খুব সহজেই তার ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারছে আমাদের উপর । ফলে তেজস্ক্রিয়তা জনিত রোগব্যাধীতে আক্রান্ত হবার ঝুকিও বাড়ছে । মহাজাগতিক রশ্মির সঠিক উৎপত্তিস্থল নির্দিষ্ট নয় ।ধারনা করা হয় লক্ষ লক্ষ আলোকবর্ষ দুরের সুপারনোভা থেকে এগুলো আসছে । মহাবিশ্ব সৃষ্টির শুরু থেকেই এগুলো সমানে পতিত হচ্ছে পৃথিবীর উপর।সবশেষে এটাই দাড়াচ্ছে যে আমরা যেটা দেখছি, যেটা শুনছি সবটাই আপেক্ষিক ও সাজানো একটা পরিবেশ । এটাই শেষ কথা নয় । যেভাবে সিনেমা সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে সেটাই সেভাবে আমরা দেখছি ও শুনছি । তাহলে আমরা যেটা দেখছি ও শুনছি তার বাইরে তো এক মহা অজানা, মহা রহস্যময়, এক অলৌকিক জগৎ থাকতেই পারে ।এটা অসম্ভব অবাস্তব, অযৌক্তিক বা গাজাখুরী গল্প বা অনুমান ভিত্তিক কথা নয় । লোক সমাজে বহুকাল ধরে প্রচলিত জ্বীন-ভূত –প্রেত-রূহ তথা প্যারানরমাল জগৎ নেই বলে দেওয়াটা হয়তো অতি বিজ্ঞান বা অতি বাস্তবতাবাদে সম্ভব ।কিন্তু একবার ভাবুনতো এ সব নেই বলে দেওয়াটা কতটা যুক্তিযুক্ত ।
ভিডিও ক্যামেরা আবিষ্কারের আগে মানুষ কি কখনো ভাবতো যে, আমাদের ইচ্ছাকৃত মূহুর্ত ক্যামেরার রিল বা মেমোরিতে ধরে রাখা সম্ভব ! এখন যেটা সম্ভব নয়, বিজ্ঞানের কল্যানে হয়তো একদিন তা সম্ভব । কে ভেবেছিলো যে মোবাইল দিয়ে হাজার মাইল দুরের লোকের সাথে কথা বলা সম্ভব ।মোবাইল ব্যবহার করছেন বলে, ব্যাপারটা বুঝতে পারছেননা । একটু ভেবে দেখেছেন কত জটিল ব্যাপারটা । পৃথিবী বলি আর বিশ্বজগৎই বলি তা অপার শক্তির আধার । পৃথিবীতে যত গাছপালা আছে তার হাতেগোনা কয়েকটি ছাড়া আমরা এখনো সবগুলোর গুণাগুণ সম্বন্ধে জানতে পারিনি । এর ভিতর কোনটার আছে জ্বালানী তেল প্রদান গুণ, দুরারোগ্য ব্যাধির ঔষধ প্রদান গুণ । পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ প্রজাতির উদ্ভিদ আছে । হাতে গোনা হয়তো শত থেকে হাজার খানেক উদ্ভিদের প্রজাতির ভেষজ, ফল, কাঠ ও ফসলের জন্য আমরা ব্যবহার করি, বাকি ৯৯% উদ্ভিদের ব্যবহার আমাদের অজানা । সামান্য যদি বলি আমের কয়েকটি জাতের নাম বলুন যেগুলোর নাম
(৭০)
1 ping
[…] কালোজাদু-পৃষ্ঠা-৬৯+৭০ […]