অর্থাৎ অজানা কোন কিছু জানতে পারা মানে পৃথিবী ও অসীম মহাকাশের অসীম সংখ্যাক পর্দা দিয়ে আড়াল করে রাখা রহস্যের ভিতর থেকে একটা একটা রহস্যে ঘেরা বিষয়ের উপর থেকে পর্দা সরে গেলো । পর্দার আড়ালের একটা বিষয় সামনে চলে এলো । আচ্ছা আমরা কথায় কথায় বলি অক্সিজেন আছে যে গ্রহে , পানি আছে যে গ্রহে সেটাতে জীবের অস্তিত্ব থাকা সম্ভব । অক্সিজেন বা পানি ছাড়া আর কোন কিছু অবলম্বন করে জীব থাকতে পারাটা অসম্ভব কিছু কি ? ।আমাদের যেমন বেচে থাকতে হচ্ছে অক্সিজেন দিয়ে, তেমনি এমন কোন প্রাণী থাকতে পারে যার অক্সিজেন লাগেনা । যেমন ধরুন আমি আপনি পানির ভিতর নির্দিষ্ট সময়ের বেশি ডুবে থাকলে মারা যাই, তার মানে কি দাড়ায় পানিতে কিছু বসবাস করতে পারেনা ।না সেটা ভাবা বোকামি, পানির জগতেও অগনিত সৃষ্টি রয়েছে । নিজে যেখানে বাচতে পারিনা, যেতে পারিনা, যেটা দেখিনা, দেখিনি যে যায়গা কোনদিন সেখানে কিছু থাকতে পারেনা এটা ভাবা কি অবুদ্ধিমানের পরিচয় নয় ?। ধরুন পা না থেকে সাপ কিভাবে হাটতে পারে, কান না থেকেও জিহ্বা দিয়ে কিভাবে শোনে ।আছে বা নেই, পারা বা না পারা বাক্তি, স্থান, কাল এবং যায়গা ভেদে আপেক্ষিক একটা ব্যাপার ।অতি গতিশীল একটা যান আমরা যদি কখনো আবিষ্কার করতে পারি তবে অনেক কিছ সম্ভব মানুষের দ্বারা করা। বর্তমানে মানুষের তৈরি রকেটের সর্বোচ্চ গতি সেকেন্ডে ১৬.২৬ কিলোমিটার মানে ঘণ্টাতে ৫৮৫৩৬ কিলোমিটার মাত্র । আর ৪৭৮ কিলোগ্রাম ওজনের একটা স্পেসশিপ ঘণ্টাতে ৫৮০০০ কিলোমিটার এর কাছাকাছি অতিক্রম করতে পারে মানে সেকেন্ডে ১৬ কিলোমিটার এর মত এখন টাইম মেশিন আবিষ্কারের কয়েকটা আইডিয়া আছে তা হল মানুষ যদি আলোর বেগের থেকে বেশি গতির কোন যান আবিষ্কার করতে পারে তাহলে সে অতীত দেখতে পাবে, মানে টাইম মেশিন দিয়ে সে অতীতে পৃথিবীতে কি ঘটেছিল তা সে দেখতে পাবে, আলোর থেকে বেশি গতি, ভাবা যায় !! ইজ ইট পসিবল ? ।
তো ওই যে বলছিলাম নির্জন রাস্তায় আপনি আসছিলেন আর যে সব অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হচ্ছিলেন, যেমন, হঠাৎ করে মনে হলো কেউ হেসে উঠলো, কেউ মনে হচ্ছে হাত ঘষছে, কেউ কাঁদছে ।
(১১১)
কেউ মনে হলো হাততালি দিলো, কেউ যেনো পিছনে হেটে আসছে, আবার পিছনে তাকালে কেউ নেই এইসব। এ সবের নানা ব্যাখ্যা হতে পারে।রাতের প্রকৃতি থাকে নির্জন ।আপনার আমার চলাচলের সময়টা সাধারণত রাত আটটা থেকে দশটার ভিতর সীমাবদ্ধ থাকে ।নির্জনতা বা নির্জন পথ দিয়ে চলাচল, অথবা নির্জন পরিবেশের সংস্পর্ষে সাধারণত আমাদের এই যুগের মানুষদের চলা হয়না বললেই চলে। আমরা এই পরিবেশটার সাথে পরিচিত নই ।জন কোলাহল ও যান্ত্রিক জীবনের ভিতর দিয়ে চলতে চলতে আমরা নির্জনতার সঙ্গে সম্পূর্ণ অপরিচিত হয়ে যায়। রাতের নির্জনতায় অনেক দুরের শব্দ ও আমাদের কানে ভেসে আসতে পারে। আপনি যদি মাটিতে কান পাতেন তাহলেও অনেক দুরের শব্দ শোনা যেতে পারে ।অনেক সময় শিশু কিশোরদের দুষ্টুমী করে রেল লাইনে কান পাততে দেখা যায় ।দেখা যায় ট্রেন যখন দুই এক কিলো দুরে থাকে তখন ট্রেনের শব্দ মাটিতে কান পাতলে শোনা যায় ।বিজ্ঞানের ভাষায় এটাকে বলে ground vibration। ঝিঝি পোকা ডাকবার শব্দও পাওয়া যায় গ্রামের নির্জন রাস্তায় ।যেটাতো আমরা ভুলতে বসেছি। আপনি হয়তো নির্জন রাস্তাতে কান্নার শব্দ পাচ্ছেন । রাত তখন একটা । হতে পারে সেটা দুশো থেকে ৫০০ গজ দুর থেকে ভেসে আসা কোন কান্নার শব্দ । হতে পারে সেটা রাতে উঠে ঝামেলা করবার মত কোন বাচ্চার কান্না ।হঠাৎ বিকট হাসির শব্দ শুনলেন । সেটা হতে পারে ফাকা মাঠে কারো হাসির শব্দ । ভাবছেন ফাকা মাঠে হাসির শব্দ এত রাতে আসবে কোথা থেকে ।ধরুন গ্রামে অনেকের অভ্যাস থাকে রাতে মাছ ধরতে যাওয়া , বন্ধুরা মিলে পিকনিক বা হতে পারে গভীর রাতে মাদকের নেশা করা কোন ব্যাক্তির উপস্থিতিতে এমন হাসির শব্দ । ধরুন হাড় মটমট করে ভাঙার কোন শব্দ পেলেন । মোটামুটি ঘাবড়ে গেছেন তাইনা । দেখুনতো আশে পাশে কোথাও কুকুর দেখতে পান কিনা , কোথা থেকে হয়তো একটা হাড় নিয়ে এসে চিবোচ্ছে । আশেপাশে কোন বাঁশ বাগান যদি থাকে তবে হতে পারে সেটা দুটো বাঁশ গাছের বাতাসের কারণে বাড়ি খাওয়া বা ঘর্ষণ ।
(১১২)
1 ping
[…] কালোজাদু-পৃষ্ঠা-১১১+১১২ […]