সৃষ্টি আর স্রষ্ঠার ব্যাপার বা সম্পর্কটাও প্রায় তাই । যুগে যুগে নানারকম সৃষ্টি বা সৃষ্টজীব পৃথিবীতে আসবে যাবে বা বিলুপ্ত হবে ।কিন্তু স্রষ্ঠা ঠিকই অতীতে যেমন সৃষ্টির স্রষ্ঠা ছিলেন , বর্তমানে যেমন আছেন ভবিষ্যতে ও থাকবেন । হয়তো এক সৃষ্টির সৃষ্টির বিলুপ্তি হবে আরেক নতুন সৃষ্টি হবে , ডাইনোসর এর পর হয়তো জ্বীন এল , জ্বীনের পর মানুষ এলো তাতে কোন পরিবর্তন হবেনা স্রষ্ঠা তত্ত্বের, সর্বকালেই স্রষ্ঠার স্থান আদিতে ও চিরঞ্জীব হিসেবে থাকবে । স্রষ্ঠা চিরকাল তার স্বমহিমায় বিদ্যমান থাকবেন , অনাদি , অনন্ত , নিজ স্বত্তাতে এভাবে চির বিরাজমান হিসেবে ।আরো একটা কথা, স্রষ্ঠা একজনই তার প্রমান খুব সোজা যদি তিনি একজন না হতেন তবে আরেকজন স্রষ্ঠা সাথে রেষারেষিতে রাতারাতি সবকিছু ধংশ হয়ে যেত ।এত সুন্দর ভাবে সুর্য্য –তাঁরা –গ্রহ-নক্ষত্র সব কিছু চলতোনা ।দেখুন সৃষ্টির সবকিছু চলছে মিলিটারীদের নিয়মের থেকেও কঠিন ভাবে ।এক সেকেন্ড বা একটু এদিক সেদিক নেই অনিয়ম , সবই স্রস্ঠার রহমত । কখনো দেখেছেন হাঁসের ডিম থেকে মুরগির বাচ্চা বের হতে , বা মুরগির ডিম থেকে সাপের বাচ্চা বের হতে , যদি নাস্তিকতাবাদীদের কথা মত সৃষ্টি নিজে নিজে এক স্রষ্ঠা ব্যাতিত হত তবে নিশ্চয় স্রষ্ঠার মত আর কয়েকজন স্রষ্ঠা তৈরি হতো , একেক সৃষ্টি একেক গাছপালা একেক রকম আচরন করত , খেয়াল খুশি মত আপনার আমার উপর বা একেকজন একেকজনের উপর চড়াও হয়ে চেইন অফ কমান্ড বা এক সিস্টেম ধংশ করে দিত , কখনো দেখেছেন বৃষ্টির সাথে কাঁদাপানি পড়তে , বনে তো বাঘ ভাল্লুক ,সাপ কত হিংস্র প্রানী থাকে ,কখনো দেখেছেন তারা জনে জনে পুরো জঙ্গল ধরে শক্তিশালী এই প্রানী গুলো আমাদের মানব বসতি দখল করতে আসছে , যদি আসতো তাহলে আপনি আমি কি আস্ত থাকতাম ,তাদের কি আমরা জঙ্গলে গিয়ে ভয় দেখিয়ে এসেছি যে আমরা মানুষ আমাদের কাছে বন্দুক আছে ? তারাতো অবুঝ প্রানী হলেও তাদের নিজস্ব একটা সভ্যতা আর জ্ঞান আছে , তা না হলে যদি বনের পশু কিছু না বুঝতো তারা একেকজন কে আমরা প্রায়ই লোকালয়ে দেখতাম এবং হয় তারা আমদের মারত না হয় আমরা তাদের মেরে ধংশ করে দিতাম ।চিড়িয়াখানাতে দেখবার মত বাঘ , ভাল্লুক ,সিংহ, থাকতোনা ।
(১৮৭)
আসলে ভাই এজন্য বলি স্রষ্ঠার অস্তিত্ত্ব প্রমানের জন্য চোখে দেখিনা বলে নাস্তিক হয়ে যাওয়া লাগেনা , কারন যিনি এই সীমাহীন জগতের অধিষ্ঠাতা তিনি আমাদের মত এই সামান্য মানুষের চোখে ধরা দেবার মত অবস্থার কিছু নন । নাস্তিকেরা বলেন পৃথিবীর সবকিছু আপনাআপনি সৃষ্টি হয়ে গেছে , পৃথিবীর সকল সৃষ্টিজগৎ বা প্রাণীকুল ও মানুষ লক্ষ লক্ষ বছরের বিবর্তনের ফলে মডিফাই বা জীবের বিবর্তন হয়ে আজকের এ প্রাণীজগৎ , এখানে ঈশ্বরের উপস্থিতি থাকার দরকার নেই । আপনা থেকে সৃষ্টি । বিবর্তন সেটা না হয় মানলাম , কিন্তু কথা হলো আপনার আমার মত মানুষ বা প্রাণীজগতের বেঁচে থাকার জন্য সূর্য্যের আলো , গাছে গাছে জটিল প্রক্রিয়াতে সৃষ্ট খাবার , সংরক্ষিত বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করে রাখা , বৃষ্টির পানি জংগলের হিংস্র প্রাণীর লোকালয়ে না আসার বুদ্ধি দান করা এগুলো কি আপনি মানুষ তাই এসব সুবিধা আপনাকে দেবার জন্য বিবর্তনের দায় পড়ে গেছে । মহান স্রষ্ঠা নামক কেউ একজন না থাকলে হয় বাঘ , ভাল্লুক , হাতি এরাতো যখন তখন এসে আপনাকে খেতে পারে । এরা যে মানুষকে একসঙ্গে দশজন দেখলেও ভয় পায়না তার প্রমাণ তো বনে গেলেই পাওয়া যায় । বনে গেলে খায় কিন্তু লোকালয় থেকে দূরে নিজেদের জঙ্গলে একটা সিস্টেমে চলে এটা কার ইশারায় বলুনতো ? এই সহজ ব্যাপার নাস্তিকেরা বোঝেনা ।আবার স্রষ্ঠাকে দেখার একটা কথা প্রচলিত আছে , এর সত্যতা হলো , যদিও কালে ভদ্রে কোন বুজুর্গ যদি স্রষ্ঠা বা আল্লাহকে দর্শনের কথা বলেন তবে সেটা হয় ভুয়া কথা অথবা বেশি হলে উপলব্ধি করবার মত পর্যায়ের ছোট খাটো দেখা । সরাসরি চর্ম চোখের দেখা নয় । কারন ০১ পোয়া পানি ধরবার ঘটিতে কি সমুদ্রের পানি ধরা যায় কখনো ? ,সমুদ্রের সকল জীব ধরা যায় ওই এক পোয়ার ঘটিতে কখনো ? , ঘটি তে হয়তো পানি কি জিনিস সেটা উপলব্ধি করা যায় মাত্র , আর একটা কথা ঘটি কি বোঝে পানি কি ,ঘটিতে যদি গোবর রাখা হয় তাও কি তার বোঝার ক্ষমতা আছে ঘটিতে কি রাখলাম , স্রষ্ঠা হলেন সেই সমুদ্র আর আমরা মানুষেরা হলাম এই ০১ পোয়ার ঘটির মত ,তাই এই ০১ পোয়া ধারন ক্ষমতার ঘটি হয়ে স্রষ্ঠা নামক সমুদ্র কে দেখতে চাওয়া বা বুঝতে চাওয়া বোকামি মাত্র ।
(১৮৮)
1 ping
[…] কালোজাদু-পৃষ্ঠা-১৮৭+১৮৮ […]