মানবসৃষ্টির আরেকটি নতুন তত্ব প্রতিষ্ঠার ।এবারে আসি হযরত আদম (আঃ)এর উচ্চতা ছিল ৬০ কিউবিটস বা ৯০ ফূট লম্বা , মতান্তরে কোথাও কোথাও ঊল্লেখ আছে ১২০ ফূট এর কথা । এখন আমরা বর্তমানের অতিজ্ঞানীরা বলি এটা সম্ভব নয় বা হলেও আমরা হলাম না কেন , কেন আমাদের গড় উচ্চতা ০৬ ফূট মাত্র কেন ? ।এসব প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে আমাদের জানতে হবে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি সম্বন্ধে ।আমরা কোন বস্তু যখন উপরের দিকে নিক্ষেপ করি তখন তা ভুমিতে ফিরে আসে ।মহাশুন্যে তো অসীম যায়গা রয়েছে , বস্তুটি কেন অসীম এ বিলীন হয়ে যায়না ? পৃথিবীর নিজের দিকে একটা অদৃশ্য টান রয়েছে ।এই টান বা টানের প্রভাব কেই মাধ্যাকর্ষণ শক্তি বলে । মাধ্যাকর্ষণ শক্তির এই প্রভাবে আমাদের পৃথিবীর সকল বস্তু পৃথিবীতে স্থির রয়েছে । ফলে কোন কিছু ইচ্ছা করলেই ভেসে বা মাটি থেকে শিকড় উপড়ে ভেসে উড়ে বেড়াতে পারছেনা । স্বাভাবিক অবস্থায় একজন মানুষের উপর প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে বায়ুর চাপ ১৪.৫ পাউন্ড এর মত । অর্থাৎ ৬.৬ কেজি এর মত বায়ুচাপ প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে মানুষের উপর রয়েছে । তাহলে এবার মোট কতটুকু বায়ুচাপ মানুষের উপর রয়েছে একটু হিসাব করুন ।এই বায়ুচাপ আবহাওয়া ,জলবায়ু , উচ্চতা ভেদে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে । যত উপরে ওঠা যায় তত বায়ুচাপ এবং মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাব কমতে থাকে , অক্সিজেন কমতে থাকে । একটা নির্দিষ্ট উচ্চতার উপরে উঠলে আমাদের অক্সিজেন এর অভাব এবং নাক দিয়ে রক্ত পড়বার মত সমস্যা হতে পারে । আমাদের রক্তের মানব শরীর ভেদে একটা নির্দিষ্ট চাপ রয়েছে । অতি উচ্চতায় আমাদের রক্তচাপ বায়ুচাপ এর থেকে বেশি হয়ে যায় । ফলে নাক দিয়ে রক্ত পড়বার মতো সমস্যা দেখা দেয় ।একটা উদাহরণ দিয়ে বিষয়টা পরিষ্কার করা যাক । ÔÔ নরিশীগে কানাই ÕÕ নামে একজন জাপানী নভোচারী টুইট করেন মহাকাশ থেকে ফিরে যে তাঁর উচ্চতা ২.৫ সেন্টিমিটার এর মত বেড়ে গেছে । কারণ নভোচারীরা যখন মহাকাশে অবস্থান করেন তখন মাধ্যাকর্ষণ শক্তির অনুপস্থিতি বোধ করেন , অনায়াসে মহাকাশে স্পেসশীপ এর ভিতর ভেসে থাকতে পারেন । ২১ দিন মহাকাশে স্পেসশীপ এ থাকলে গড়ে ০২ থেকে ০৫ সেন্টিমিটার উচ্চতা বাড়তে দেখা গেছে মহাকাশচারীদের ।
(১৫১)
কারণ মাধ্যাকর্ষণ শক্তির অভাবে সেখানে নভোচারীদের মেরুদণ্ডের হাড় প্রসারিত হয় । পৃথিবীতে ফিরে এলে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেন তিনি । এবার আসি আসল কথাতে । আমাদের আদি পিতা যদি স্বর্গ থেকে বা অন্য কোন এমন এক গ্রহ থেকে আসেন যেখানে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি এবং বায়ুচাপ দুটোয় স্রষ্ঠার বিশেষ রহমতে কম , ফলে সেখানে ৯০ ফিট উচ্চতা অর্জন করাটা স্বাভাবিক ছিল । তারপর যখন পৃথিবীতে তাঁদের পাঠানো হল তখন তিনি তাঁর উচ্চতার ছিলেন কিন্তু তাঁর উত্তরপুরুষ বা পরবর্তী বংশধর দের ক্ষেত্রে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল এবং বায়ুচাপ এর সাথে অভিযোজিত বা মানিয়ে নিতে গিয়ে কয়েক হাজার বছর শেষে আমাদের স্বাভাবিক এই ০৬ ফীট উচ্চতা তে এসেছে । এবং এই উচ্চতা বিগত ০৪ থেকে ০৫ হাজার বছর পূর্বের মানুষের থেকে বর্তমান মানুষের ক্ষেত্রেও একই এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ।এটাই আমাদের পৃথিবীর জন্য উপযুক্ত উচ্চতা মানুষের ।আর পিটুইটারি গ্লাণ্ড এর HGH হরমোনের প্রভাবতো অবশ্যম্ভাবী উচ্চতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে । আপাতত HGH প্রসঙ্গ থাক ।তাহলে ৯০ ফিট উচ্চতা অর্জন করতে গেলে সেখানকার মাধ্যাকর্ষণ এবং বায়ুচাপ অন্তত আমাদের পৃথিবীর থেকে ১৫ গুণ কম থাকতে হবে ।এটা হল একটা আনুমানিক বা মানবজ্ঞানের কথা ।আসল কারন একমাত্র স্রষ্ঠা মহান আল্লাহ তায়ালা ভাল জানেন ।এখন কথা হল মানুষ সৃষ্টির জন্য সত্যি কি বিবর্তনের প্রয়োজন আছে কি ?।থাকতেও পারে , ধরুন খচ্চর নামের একটা প্রানী আছে সেটা হলও ঘোড়া ও গাধার মিলনে উৎপন্ন । বর্তমানের বিভিন্ন জাতের ধান , গবাদি পশু , পোল্ট্রি শিল্পের প্রানী গুলো এগুলো তো মানব সৃষ্ট একপ্রকার বিবর্তন । আবার ধরুন আপনার শরীর কে যদি আপনি প্রচুর ব্যায়াম করান তবে আপনার শরীরের নির্দিষ্ট কিছু পেশি অধিক খাটুনির জন্য তৈরি হয়ে যাবে । এবং অন্যদের থেকে আলাদা রুপ ধারন করবে ।যেমন পার্থক্য সাধারন মানুষের থেকে একজন বডিবিল্ডার মাঝে দেখা যায় ।এখন মানুষ যদি ১০০% লোকই ব্যায়াম করতো তবে দেখতেন বাই জেনেটিকালী ২০০ বছর পর জন্মগতভাবে ছেলেরা ০৬ মাস ব্যায়ামের মাধ্যমে পাওয়া মাসলস পিউবার্টিতে বাই বার্থ পেয়ে যেতো ।
(১৫২)
1 ping
[…] কালোজাদু-পৃষ্ঠা-১৫১+১৫২ […]