**** জ্যোতিষবিদ্যা – বর্তমান বিজ্ঞানসম্মত ভাবে মানবজীবনের উপর এর প্রভাবের কোন ভিত্তি নেই ।জ্যোতিষবিদ্যার যে গ্রহ নক্ষত্র গুলো ভিত্তি করে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয় সেটার পরীক্ষিত কিছু সত্য হল প্রকৃতির কিছু দুর্যোগ এর উপর গ্রহ নক্ষত্রের কিছু প্রভাব , এবং এক এক ভিন্ন মাসে জন্ম গ্রহণকারী মানুষের স্বভাবের ভিন্নতা। তবে প্রমানিত বিজ্ঞান্সম্মত সত্য না থাকলেও দূর অতীতে এটার কার্যকরীতা ছিল এটার প্রমান ইতিহাসে অনেক আছে । খনা এবং বরাহমিহির এর বিদ্যা এখনো সত্য বলে প্রমান হচ্ছে । মিসরের প্রাচীন ফেরাউনদের রাজসভাতে জ্যোতিষীর চরম কদর ছিল ।হজরত মুসা আঃ আসবেন এবং ফেরাউন কে ধ্বংস করবেন সেটাও কিন্তু ফেরাউনের স্বপ্নের জ্যোতিষগণনা ছিল । ইসলাম ধর্ম মতে হুজুর সাঃ এর সময় থেকে জীনদের ১ম আসমানে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞার কারন থেকেই জ্যোতিষবিদ্যার পতন তরান্বিত হয়েছে তখনি । কিন্তু সেই ঘটনার এত বছর পরও যদি কিছু থেকে থাকে তবে সেটা অবশ্যই কথিত অদৃশ্য শয়তান জীনদের কাছে নির্দিষ্ট গুপ্ত কোন কায়দাতে নির্দিষ্ট ব্যাক্তি নতিস্বীকার করে , শয়তানের উপাসক হয়ে এই বিদ্যা অর্জন করে , তারপরেও তার ভবিষ্যদ্বাণীর কিছুটা সত্য হয় আর কিছুটা মিথ্যা হয় । মানুষ তার ভাগ্যের গঠন নিজে করে , নিজের অলসতাতে , দৃষ্টিভঙ্গির দোষে ও অসতর্কতাতে দুর্ভাগ্য ডেকে আনে ।হাতের রেখা তৈরি হয় মানুষ মায়ের পেটে থাকা অবস্থাতে হাতের মুঠি মুস্থিবদ্ধ করে রাখে বলে ।ব্যাতিক্রম উদাহরণ দিতে গেলে হ্যা এবং না দুটোই পাওয়া যায় ।ভেবে দেখুন প্রত্যেকটি পত্রিকাতে রাশিফল থাকে ।রত্ন পাথরের রমরমা ব্যবসাও থেমে নেই । এক বাক্যে সবাই জ্যোতিষবিদ্যা ভুয়া বলে । কিন্তু এগুলো তাহলে ক্রয় করে কারা ? । আমি আর কি বলতে পারি বলুন। কিংবদন্তি অনুসারে সম্রাট অ্যালেক্সান্ডার যখন উত্তর পশ্চিম ভারতে আসেন তখন নাকি একজন জ্যোতিষী মন্তব্য করেছিলেন ব্যাবিলনে আলেক্সান্ডারের মৃত্যূ হবে। নিকট অতীতের প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যুও জ্যোতিষবাণীর সাথে মিলেছিল ।তারপরেও এগুলো না বিশ্বাস করা ভালো , ঠকবার সম্ভাবনাই বেশি।
(৩২৫)