আর মাঝে মাঝে আমরা বাড়িতে বসে মোবাইল দিয়ে ০৫ কিলোমিটার দুরের স্যালো ইঞ্জিন স্টার্ট দেবার কথা তো আমরা শুনেছি অনেকে ।আবার জিঞ্জিরার কারিগররা এতটাই দক্ষ যে পৃথিবীর যে কোন কোম্পানীর জিনিসের হুবহু নকল তৈরি করতে পারে তারা ।আবার মাঝে মাঝে এমন কিছু মামুলি কবিরাজ পাওয়া যায় যারা গাছড়া দিয়ে দুর্লভ সব ঔষধ আবিষ্কার করে । যেটা কিন্তু হরহামেশা হতদরিদ্র লোকেরা ব্যবহার করছে এবং আরোগ্যও হচ্ছে । আবার এ রকম লোককে বিশ্বাস করে হরহামেশা মানুষের মৃত্যূ বা ক্ষতিও হচ্ছে । তবে পরিক্ষীত যদি কিছু পাওয়া যায় তবে সেটা পৃষ্ঠপোষকতা পেলে মানব কল্যান ছাড়া অকল্যান হবেনা ।
এভাবে কোন কোন সময় সেটা গোটাকয়েক লোকের ভিতর সীমাবদ্ধ থেকে তাদের মৃত্যুর সাথে সাথে সেই আবিষ্কৃত বিজ্ঞান লুপ্ত হয়ে গেছে , আবার কোন কোন বিজ্ঞানের সহজ বিকল্প আবিষ্কার হওয়াতে অপেক্ষাকৃত কঠিন পথ বাতিল করে মানুষ সহজটি গ্রহন করেছে ।যেমন তার টানা টেলিফোন বাদ দিয়ে মানুষ মোবাইল সানন্দে গ্রহন করেছে , ঘোড়া বাদ দিয়ে সাইকেল গ্রহন করেছে , সাইকেল বাদ দিয়ে মোটর সাইকেল নিয়েছে , কিন্তু সবগুলোর উদ্দেশ্যই কিন্তু দ্রুত আরামদায়ক ভাবে গন্তব্ব্য পৌঁছানো , ঘোড়া চালনাটাও শিখতে হতো ,সেটাও একটা পশুর সেন্স বুঝে পোষ মানিয়ে চালনার বিজ্ঞান ছিল , ঘোড়া আবার যথেষ্ট দ্রুত বাহন ছিল , ঘণ্টায় ঘোড়া ৪০-৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত পথ অতিক্রম করতে পারে ।এখানে একটা মজার জিনিস বলি । বর্তমানে অতি ক্ষমতাসম্পন্ন স্মার্টফোন বা মোবাইল আবিষ্কার হয়ে বেশ কিছু বিজ্ঞানের আবিষ্কার বিলুপ্ত হয়ে গেছে বা তাদের কার্য্যকরীতা হারিয়ে ফেলেছে ।যেমন ধরুন হাতঘড়ি, টর্চলাইট ,ক্যলকুলেটর , ক্যমেরা , রেডিও-ক্যাসেট-সিডি-কাগজের বই এ রকম অনেক কিছু ।এখানে ভালোভাবেই বোঝা যাচ্ছে যে উপরোক্ত যন্ত্রগুলো বিলুপ্ত হয়ে যায়নি । ওই যন্ত্র গুলো দৃশ্যপট থেকে চলে গেছে ঠিকই , কিন্তু মোবাইলের মাধ্যমে সে গুলোর কাজ চলে যাচ্ছে
(৩২১)
1 ping
[…] কালোজাদু-পৃষ্ঠা-৩২১ […]