অলস আর জ্ঞান এর গভীরতা বিহীন মানুষের কাছে মন্ত্র বলতে শুধু এটুকুই । কিন্তু সত্যি যদি মন্ত্র বলে কিছু থেকে থাকে তবে সেটা হতে হবে গবেষনার মাধ্যমে আবিষ্কৃত এক ধ্বনিবিজ্ঞান।তন্ত্র-মন্ত্র-কালযাদু-জ্যোতিষ বলে যদি কিছু থাকতে হয় আর যদি তা দিয়ে কোন কাজ প্রকৃত অর্থে হতে হয় তবে সেটা হতে হবে অবশ্যই বিজ্ঞান ও গবেষণালব্ধ বিষয় এবং এই মন্ত্র যারা প্রয়োগ করবে তাঁদের বেশভূষা ধুতি হোক আর কোর্ট প্যান্ট যাই পরিহিত থাকুক না কেন , চুল সিল্কি হোক আর জটা হোক মাথাতে ব্যাপক মাল থাকতে হবে , বিদ্যা ,ঘিলু বা মগজ থাকতে হবে ।অন্তত কলেজের বিজ্ঞানের প্রোফেসর লেভেলের বিদ্যা থাকতে হবে ।চিকিৎসার নামে নারী নির্যাতনকারী সাধু গোছের কিছু হলে বা হাত দেখার নাম করে ২০ হাজার টাকার পাথর বেচে নিজের ০৫ তলা বাড়ি গড়া জ্যোতিষ হলে ও হবেনা ।শুধু শুধু তন্ত্র মন্ত্রের দোষ দিয়ে দিয়ে লাভ নেই ।বর্তমানে বহুকাল পুর্বে আবিষ্কৃত হারবাল বা ইউনানি গাছ এর মাধ্যমে আবিষ্কৃত ঔষধের গুন বলে হারবাল চিকিৎসা এই আধুনিক আলোপ্যাথির যুগে টিকে আছে তেমনি, তন্ত্র-মন্ত্র –জ্যোতিষ এককালে ছিল ।বাই জেনারেশন সঠিক ভাবে উত্তরসূরিদের হাতে অর্পণ না করার কারনে এবং বিকল্প সহজ অন্য কোন পথ আবিষ্কার হবার কারনে সেটা তার কার্যকরীতা হারাতে হারাতে বিলুপ্ত হয়ে গেছে তন্ত্র-মন্ত্র নামক ধ্বনি বিজ্ঞানের বিস্ময়কর একটা শাখা। ধরুন আপনি স্কুলে যাবেন,সেটা একসময় মানুষ ১০ কিলোমিটার হেটেও গেছে, কিন্তু এ যুগের আমরা যারা আছি তাদের কাছে এটা বলা চলে অসম্ভব।তাই বলে পারা যাবেনা বলা যাবেনা ।একজন দৌড়বিদ এর দৌড়ের গতি ঘণ্টাতে ১০০ কিমি. ।আপনি আমি দৌড়ালে সেটা আসবে ঘণ্টাতে হয়তো ১০ কিলোমিটার ।তাহলে দৌড়বিদ কি যাদু জানে ? তাকে যে অতিমানবীয় ক্ষমতার দেখছেন তার পিছনে একটা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে অনুশীলন ও খাদ্য নামক মন্ত্র কাজ করেছে ।ধ্বনি বিজ্ঞানের উদাহরণ দিয়ে দিই কিছু ।তাহলে পরিষ্কার বুঝবেন তন্ত্র মন্ত্র বলে কিছু আছে কিনা বা ছিল কিনা বা ভবিষ্যতে হতে পারে কিনা । ধরুন আপনি পথ দিয়ে হেটে যাচ্ছেন ।
(২৭৯)
আপনার পিছনের থেকে আপনার নাম ধরে কেউ আপনাকে ডাকলো ।আপনার বা একজনের নাম আসিফ ।আসিফ বলে ডাকলো বলেই আপনি বা সে হয়তো পিছন ফিরে তাকালেন ।এখানে আপনার নাম আসিফ ধ্বনির বা শব্দ বিজ্ঞানের উদাহরণ ।অন্য কোন নামে ডাকলে সাধারণত আপনার ফিরে তাকানোর কথা নয় ।কেন নয় , সেটার কারন হল এটা এমন একটা শব্দ যেটা আপনার খুব পরিচিত যেটা আপনি আপনার নিজের ভাষাতে শুনে শুনে পরিচিত ,আপনার ভাষা যাই হোক না কেন । হতে পারে সেটা পৃথিবীর যে কোন ভাষা , হতে পারে ভিনগ্রহের অজানা কোন ভাষা , হতে পারে সেটা এখনো আমাদের অনাবিষ্কৃত , অদৃশ্য কোন জগতের ভাষা ।সাড়া দেবার শর্ত হিসেবে আপনাকে বা ওই বাক্তিকে হতে হবে উপরোক্ত যে কোন জগতের সদস্য ।ধরুন আপনার বাসাতে একটা বিড়াল আছে তাকে মিনি বলে ডাকেন , মিনি বললেই সে চট করে আপনার কাছে হাজির হয়ে যায় , সে যদি কয়েকশ হাত দুরেও থাকে , আপনার উঠানে যদি চাউল বা খাবার হাতে করে আয় আয় তিতি বলে ডাক দেন তাহলে দেখবেন হাস বা মুরগী গুলো এমনিতে ছুটে চলে আসে ।তাহলে আমরা মানুষ হয়ে এদের কে ডাক দিলে এরা আমাদের ভাষা বুঝে কি করে ।এরা তো অবলা জীব ।আপনার কুকুর টা কে যদি টমি বলে ডাক দেন তবে সে ছুটে চলে আসে ।আপনার দিকে তাকিয়ে লেজ নাড়াতে থাকে ।অনেক সময় নানা রকম কসরত করে দেখায় । আপনার বাড়ির গরুটা , আপনার বাড়ির মুরগীটা সন্ধ্যা হবার সাথে সাথে কিভাবে বাসা চিনে ঘরে ফেরে । আপনার কবুতর গুলো অনেক দূরে ঝাঁক ধরে খাবারের জন্য উড়ে চলে যায় । আবার ২০-৫০ মাইল দূর থেকে খাবার খেয়ে আবার ফিরে আসে আপনার বাসাতে । আচ্ছা এই কবুতর বা যে কোন গৃহপালিত পশু এরা কিভাবে শত মাইল দূর থেকে আপনার বাসাতে আপনার বানান তাদের বাসাতে চলে আসে তা কখনো ভেবেছেন কি ।তারা তো পারে অন্য কোথাও চলে যেতে , কারন একটা সময় তো তারা সবাই আপনার বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় বা আপনার আওতা থেকে মুক্ত হয়ে যায় ।
(২৮০)
1 ping
[…] কালোজাদু-পৃষ্ঠা-২৭৯+২৮০ […]